বিপিএল ফাইনালের আগের দিন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠানে উপস্থিত হলেও ছিলেন না বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তিনি ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান বাদ দিয়ে বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে অংশ নেন।
নিয়মের তোয়াক্কা না করে বায়ো-বাবল ভেঙে এক পানীয়র বিজ্ঞাপনচিত্রে অংশ নিতে ছুটে যান সাকিব। অথচ পেটের পীড়ার কারণে সাকিব অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি বলে জানিয়েছিল তার ফ্রাঞ্চাইজি।
এ ঘটনায় বরিশাল ফ্র্যাঞ্চাইজিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। নোটিশের একদিন পরেই বিসিবির কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফরচুন বরিশাল।
টুর্নামেন্ট চলার সময় টিম হোটেলের বাইরে গিয়ে সাকিব নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়েছেন, স্বীকার করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ ঘটনাকে বরিশাল নিজেদের ভুল হিসাবে দেখছে। তাদের চিঠি পাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন বিসিবির এক কর্মকর্তা।
এখন দেখার বিষয়, বরিশাল ও সাকিব শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে কোনো শাস্তি পান কি না। অনুসরণ করা হয়েছে ম্যানেজড ইভেন্ট এনভায়রনমেন্ট (এমইই)। যা টোকিও অলিম্পিকে অনুসরণ করা হয়েছিল।
সাকিবকে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টুর্নামেন্ট শেষে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।
পাপন বলেছিলেন, টুর্নামেন্টের মাঝে তো কিছু করা সম্ভব না। টুর্নামেন্ট শেষ হয়েছে, এখন যা করার করব নিশ্চিত। আমার কথা হচ্ছে (কারও ক্ষেত্রেই) ভিন্ন হতে পারে না। ফ্র্যাঞ্চাইজিদের দায়িত্বটা এখানে বেশি ছিল।
তিনি আরও বলেন, সাকিব কীভাবে জৈব সুরক্ষা বলয় ভাঙল! আমরা ফ্র্যাঞ্চাইজিদের নির্দেশনা দিয়েছিলাম, কীভাবে জৈব সুরক্ষা বলয় মানতে হবে। এটা ভাঙা হয়েছে, এ কারণেই কারণ দর্শানো নোটিশ দেওয়া হয়েছে তাদের।
সাকিবকাণ্ডে সব দায় ফ্রাঞ্চাইজির ওপর দিয়ে বিসিবি প্রধান আরো বলেছিলেন, সাকিবের এমন ঘটনার দায়টা ফ্র্যাঞ্চাইজিরই বেশি, আমি আপনাদের বলি, (এর আগে) যতগুলো সিরিজ বা টুর্নামেন্ট হয়েছে, আমরা কিন্তু ছাড় দিইনি। এবার কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিদের ওপর দায়িত্ব ছিল। বিসিবির অধীনে এমন হয়নি।বিসিবি দায়ী নয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।